ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিদেশি মদ আটকের ঘটনা ধামাচাঁপার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৯:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৩৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদেশি মদ আটকের ঘটনায় চোরা কারবারিদের ব্যাপারে মামলা না করে উল্টো ঘটনা ধামাচাঁপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এএসআই ও এক এসআই’র বিরুদ্ধে।

দু’দিন আটকে রেখে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা থেকে এক মাদক চোরা কারাবারিকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

চোরাচালানীদের রক্ষায় অভিযানে থাকা থানার এক এসআই ও অপর এক এএসআই গত তিন দিন ধরেই গণমাধ্যমকে তথ্য দিতে সময় ক্ষেপন ও নানা রকম গরিমসি করছেন।

থানা পুলিশের এমন অপেশাদার কর্মকাণ্ডে নানা শ্রেণিপেশার মানুষজন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার সীমান্তবর্তী টেকেরঘাটে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে টেকেরঘাট- লাকমা সীমান্ত সড়কের উপর হতে রোববার রাতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদের চালানসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেন থানার এসআই অপূর্ব সাহা ও টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এএসআই ফরিদ। আটক ব্যক্তি হলেন নেত্রকোনার দুর্গাপুরের মুক্তারপাড়ার ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে রফিক হাওলাদার।

পরদিনই পরিবারের লোকজন থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে ওই চোরাকারবারীকে বীরদর্পে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

রোববার রাতে থানার টেকেরঘাট ফাঁড়ি ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এএসআই ফরিদের নিকট জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরের কাছে অকপটে স্বীকার করে বলেন, এক বোতল বিদেশি মদের বোতলসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার ওই বিষয়ে ফের জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি ওসি ও এসআই অপূর্ব সাহা ভাল বলতে পারবেন।

সোমবার সন্ধায় ও রাতে দু’দফা মুঠোফোনে কল করে এসআই অপূর্ব সাহার কাছে বিদেশি মদসহ চোরাকারবারিকে আটকের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যস্ত আছি পরে আলাপ করব।

এরপর মধ্যরাতে ফের ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা  রোববার রাতে আমি ও এসআই ফরিদ দুজনই টেকেরঘাট বাজারের একটি দোকানের পাশে দুই বোতল বিদেশি (ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদের বোতল)পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছি।

এরপর একই রাতে টেকেরঘাটে বিদেশি মদসহ চোরাচালানী আটকের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে যুগান্তরকে বলেন, না, না আসলে টেকেরঘাট লাকমা সড়কে রাত পৌনে দু’টার দিকে এক কিশোর ঘোরাফেরা করছিল, পুলিশ ফাঁড়িতে তাকে নিয়ে এসে আটকে রাখি।

মঙ্গলবার তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, রোববার রাতে টেকেরঘাটে  মাদক জব্দ ও কিশোরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া দুটি ভিন্ন ঘটনা হওয়ায় মুচলেকায় কিশোরকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং মাদক পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ দেখিয়ে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

ওই রাতে টেকেরঘাটে অভিযানে থাকা এক অফিসার বিদেশি মদসহ ওই চোরাচালানীকে আটকের কথা স্বীকার করেছিলেন বলার পর ওসি বলেন, পরে কথা বলব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিদেশি মদ আটকের ঘটনা ধামাচাঁপার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১০:৪৯:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদেশি মদ আটকের ঘটনায় চোরা কারবারিদের ব্যাপারে মামলা না করে উল্টো ঘটনা ধামাচাঁপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এএসআই ও এক এসআই’র বিরুদ্ধে।

দু’দিন আটকে রেখে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা থেকে এক মাদক চোরা কারাবারিকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

চোরাচালানীদের রক্ষায় অভিযানে থাকা থানার এক এসআই ও অপর এক এএসআই গত তিন দিন ধরেই গণমাধ্যমকে তথ্য দিতে সময় ক্ষেপন ও নানা রকম গরিমসি করছেন।

থানা পুলিশের এমন অপেশাদার কর্মকাণ্ডে নানা শ্রেণিপেশার মানুষজন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার সীমান্তবর্তী টেকেরঘাটে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে টেকেরঘাট- লাকমা সীমান্ত সড়কের উপর হতে রোববার রাতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদের চালানসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেন থানার এসআই অপূর্ব সাহা ও টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এএসআই ফরিদ। আটক ব্যক্তি হলেন নেত্রকোনার দুর্গাপুরের মুক্তারপাড়ার ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে রফিক হাওলাদার।

পরদিনই পরিবারের লোকজন থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে ওই চোরাকারবারীকে বীরদর্পে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

রোববার রাতে থানার টেকেরঘাট ফাঁড়ি ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এএসআই ফরিদের নিকট জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরের কাছে অকপটে স্বীকার করে বলেন, এক বোতল বিদেশি মদের বোতলসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার ওই বিষয়ে ফের জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি ওসি ও এসআই অপূর্ব সাহা ভাল বলতে পারবেন।

সোমবার সন্ধায় ও রাতে দু’দফা মুঠোফোনে কল করে এসআই অপূর্ব সাহার কাছে বিদেশি মদসহ চোরাকারবারিকে আটকের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যস্ত আছি পরে আলাপ করব।

এরপর মধ্যরাতে ফের ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা  রোববার রাতে আমি ও এসআই ফরিদ দুজনই টেকেরঘাট বাজারের একটি দোকানের পাশে দুই বোতল বিদেশি (ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদের বোতল)পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছি।

এরপর একই রাতে টেকেরঘাটে বিদেশি মদসহ চোরাচালানী আটকের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে যুগান্তরকে বলেন, না, না আসলে টেকেরঘাট লাকমা সড়কে রাত পৌনে দু’টার দিকে এক কিশোর ঘোরাফেরা করছিল, পুলিশ ফাঁড়িতে তাকে নিয়ে এসে আটকে রাখি।

মঙ্গলবার তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, রোববার রাতে টেকেরঘাটে  মাদক জব্দ ও কিশোরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া দুটি ভিন্ন ঘটনা হওয়ায় মুচলেকায় কিশোরকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং মাদক পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ দেখিয়ে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

ওই রাতে টেকেরঘাটে অভিযানে থাকা এক অফিসার বিদেশি মদসহ ওই চোরাচালানীকে আটকের কথা স্বীকার করেছিলেন বলার পর ওসি বলেন, পরে কথা বলব।